ভারতে এসে কী দেখে চমকে গেল বাবর, শাহিনের পাকিস্তান?

ভারতে এসে কী দেখে চমকে গেল বাবর, শাহিনের পাকিস্তান?

ভারতে এসে কী দেখে চমকে গেল বাবর, শাহিনের পাকিস্তান?
ভারতে এসে কী দেখে চমকে গেল বাবর, শাহিনের পাকিস্তান?

মিজানুর রহমান (টনি): বুধবার রাতে বিশ্বকাপ খেলতে হায়দরাবাদে এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। বিমানবন্দরে সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে মুগ্ধ শাহিনেরা। সমাজমাধ্যমে সে কথা জানিয়েছেনও।

ভারতের আতিথেয়তায় মুগ্ধ পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা। সমাজমাধ্যমে নিজেদের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এ বারের বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে এসেছেন বাবর আজ়মেরা।

গত বুধবার রাতে হায়দরাবাদে এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের জন্য বিমানবন্দরে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হোটেল থেকে মাঠ সর্বত্র বাবরদের ঘিরে রাখছেন নিরাপত্তা কর্মীরা। বাবরদের কাছাকাছি যেতে দেওয়া হয়নি কাউকে। তবু তাঁদের দেখতে বিমানবন্দরের বিভিন্ন জায়গায় ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের দেখে প্রায় সকলেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। তাঁরা চিৎকার করে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ভারতে স্বাগত জানান। অনেককে দেখা যায় মোবাইলে পাকিস্তান দলের ছবির তুলতে। সাধারণ মানুষের এমন ভালবাসায় অভিভূত বাবরেরা।

ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের এমন অভ্যর্থনায় মুগ্ধ শাহিন সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘হায়দরাবাদ, ভারত। আমাদের দুর্দান্ত ভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে।’’ এরকম হবে ভাবতে পারেননি তিনি। সন্তোষ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি)। তারা সমাজমাধ্যমে বাবরদের ভারতে পৌঁছানোর ভিডিয়ো ভাগ করে নিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের সঙ্গে। পিসিবি লিখেছে, ‘‘হায়দরাবাদে আমরা উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি। মানুষের উৎসাহে আমরা অভিভূত।’’

ভারতের ব্যবস্থায় তাঁরা যে খুশি, তা নিয়েছেন অধিনায়ক বাবরও। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা গর্বিত বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেয়ে। আগে আমরা কখনও ভারতের মাটিতে খেলিনি। খুব বেশি চাপ নিচ্ছি না আমরা। যথেষ্ট তথ্য সঙ্গে নিয়ে এসেছি আমরা। এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মতোই পরিবেশের কথা শুনেছি। অনেকটা একইরকম উইকেটে, মাঠে খেলতে হবে আমাদের। অধিনায়ক হিসাবে বিশ্বকাপ খেলতে আসা ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে অত্যন্ত গর্বের। আশা করছি, আমরা ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরতে পারব।’’

বাবর আরও বলেছেন, ‘‘আমরা ছোট ছোট চারটে লক্ষ্য নিয়ে এসেছি। আমরা নিজেদের বিজয়ী হিসাবে দেখতে চাই। বিশ্বকাপের আগে আমরা প্রস্তুতি শিবির করার সময় পাইনি। কারণ আমাদের দীর্ঘ দিন ধরে টানা খেলতে হয়েছে। তাই ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যাতে সবাই তরতাজা অবস্থায় এবং জেতার খিদে নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে পারে। খিদে থাকলে পারফরম্যান্সও ভাল হয়।’’

শুক্রবার নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচেও মাঠে নেমেছেন বাবরেরা। বিশ্বকাপে তাঁদের প্রথম ম্যাচ ৬ অক্টোবর নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply